রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৯:৪০ অপরাহ্ন

বিজ্ঞাপন :
সংবাদিক নিয়োগ! আপনি যদি সাংবাদিকতা এবং প্রতিবেদনে অভিজ্ঞ হন এবং ব্রেকিং নিউজ থেকে প্রাথমিক প্রতিবেদন তৈরি করার জন্য আগ্রহী হন, তবে সম্মানিত সংবাদ সংস্থা তে আপনার জন্য সুযোগ আছে। সংবাদিক মান্যতা এবং প্রতিবেদন ক্ষমতা সাথে জয়েন করুন।
সংবাদ শিরোনাম
করিমগঞ্জে জামায়াতের গণসংযোগ। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত টুঙ্গিপাড়ায় অপহরণ চক্রের মূল হোতাসহ একাধিক মামলার দুই আসামি গ্রেফতার। বার বার নির্বাচিত পাটগাতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য গাজী আবদুল হান্নানের পক্ষ থেকে অগ্রীম ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা। নারায়ণগঞ্জে তাতীদলের কর্মীসভা। রাস্তার বেহাল দশার কথা শুনে ছুটে যান নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সাত্তার। জীবননগর থানাধীন গোপালনগরে’ওপেন হাউজ ডে’ অনুষ্ঠিত। বোরহানউদ্দিনে মানবতার আলোকবর্তিকা সমাজসেবক মোঃ কবির পালোয়ান: রাজনীতি নয়, মানুষই তার মূল প্রতিশ্রুতি পশুরহাট ইজারাদার,খামারী ও ব্যবসায়ীদের সাথে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়। লতিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুলড্রেস বিতরণ,

খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের আয়োজনে মাগুরায় গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে গুজব ও অপতথ্যরোধ বিয়ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার

বটিয়াঘাটা(খুলনা)প্রতিনিধিঃ

খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের (পিআইডি) আয়োজনে ‘গুজব ও অপতথ্যরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনার গতকাল ৩০ এপ্রিল বুধবার সকালে মাগুরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শাশ্বতী শীল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, গণ্যমাধ্যমকর্মীরা সমাজের আয়না। সত্যকে বিকৃত করলে তা সমাজের জন্য ক্ষতিকর, যেমনটি দেখা যায় সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। মিথ্যা, অপতথ্য ও গুজবের কারণে অনেক সময় সমাজ ও ব্যক্তির জীবন, সম্পদ ও সম্মানের ক্ষতি হতে পারে। সঠিক তথ্যই সংবাদ মাধ্যমে প্রচার করা উচিৎ। গুজব ও অপতথ্য সমাজ ও দেশের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তথ্য যাচাই করতে গণমাধ্যমকর্মীদের আরো দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। গুজবের প্রচারবন্ধে ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গণ্যমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।

সভাপতির বক্তৃতায় খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীর বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অপার বিস্ময় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের বিশ^। এখন তথ্যই হলো শক্তি। আর তথ্যের সঠিক ব্যবহার যারা করতে পারবেন, তারাই সফল। আবার প্রযুক্তি ব্যবহারের সহজলভ্যতাকে কাজে লাগিয়ে গুজব বা অপতথ্যের বিস্তারের পথ তৈরি হয়েছে। অনলাইন ব্যবস্থা তথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো হয়ে উঠেছে অপতথ্য বিস্তারের উর্বর ভূমি। অনিবন্ধিত অনলাইন মিডিয়াগুলো সহজেই ছাড়াতে পারে মিথ্যার অপপ্রলাপ। এর প্রভাব পড়ছে ব্যক্তি ও সমাজের ওপর, ফলে বিবর্তিত হচ্ছে মানুষের ভাবনার ইতিবাচক জগতটি। তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ, সমাজের আয়না। কোন কোন ক্ষেত্রে গণমাধ্যমই হয়ে ওঠে নাগরিকের বিবেকবোধের বহি:প্রকাশের জায়গা। তাই প্রধানত অনলাইন বা ইন্টারনেটভিত্তিক গুজবের বিস্তার প্রতিরোধে মূলধারার গণমাধ্যমকর্মী বা সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য অফিসার মো: মেহেদী হাসান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সহকারী তথ্য অফিসার মোঃ আতিকুর রহমান মুফতি। সেমিনারে মাগুরা জেলা তথ্য অফিসের তথ্য অফিসার পাভেল দাসসহ গণমাধ্যমকর্মীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারী গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য ফ্যাক্ট চেকিং বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা যেতে পারে। এতে সাংবাদিকদের দক্ষতা যেমন বাড়বে, তেমনি গুজব ও অপতথ্যের বিস্তাররোধে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবেন। সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যক্তি কোন বিশেষ উদ্দেশ্য দ্বারা পরিচালিত হলে তার পক্ষে সুষ্ঠুভাবে সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। মূলধারার সাংবাদিকরা তাদের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন। এই পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের পেশাগত সুরক্ষার কথাও সরকারকে ভাবতে হবে। বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে সংবাদ প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য অবাধে পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। এতে অপতথ্য ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে আসবে।

সেমিনারে মাগুরা জেলার ৪০ জন গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন :

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।